নদী বাঁচলেই বাঁচবে মানুষ– নদী দিবসে কক্সবাজারে আলোচকরা”



কক্সবাজার প্রতিনিধি
বিশ্ব নদী দিবস উপলক্ষে কক্সবাজারে আয়োজিত আলোচনা সভা ও মানববন্ধনে বক্তারা বলেছেন, “মানুষ বাঁচাতে হলে আগে নদী বাঁচাতে হবে।”

মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের সামনে উন্নয়ন সংস্থা হেল্প কক্সবাজার, এএলআরডি ও পরিবেশ সংগঠন সেভ দ্য কক্সবাজার যৌথভাবে এ কর্মসূচির আয়োজন করে।

কর্মসূচির সভাপতিত্ব করেন কক্সবাজার জেলা প্রেসক্লাব সভাপতি ও সেভ দ্য কক্সবাজারের চেয়ারম্যান তৌহিদ বেলাল। প্রধান আলোচক ছিলেন হেল্প কক্সবাজারের নির্বাহী পরিচালক আবুল কাশেম। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সাংবাদিক নেতা নুরুল আমিন হেলালী, সাংবাদিক ও শিশু সংগঠক এম জসিম উদ্দিন, হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডার্স ফোরামের সদস্য সচিব মিজানুর রহমান বাহাদুর, হেল্পের চিফ কোঅর্ডিনেটর আবদুর রহিম বাবু, ডিএলডিসি সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হোসেন সুমন, সাংবাদিক ও পরিবেশকর্মী কামরুল হাসান, আমানুল হক আমান, রফিকুল ইসলাম, লোকমান হাকিম ইমন ও ফাতেমাতুজ জোহরা। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাংবাদিক ও পরিবেশকর্মী রতন দাশ।

বক্তারা বলেন, কক্সবাজারের বাঁকখালীসহ অন্যান্য নদী আজ অস্তিত্ব সংকটে। নদীর তীরজুড়ে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা, দখল, বর্জ্য ফেলা ও পয়ঃনিষ্কাশনের কারণে নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ ব্যাহত হচ্ছে এবং নাব্যতা কমছে। কৃষি জমি থেকে কীটনাশক ও রাসায়নিক সার সরাসরি নদীতে মিশে জলজ প্রাণী ও মানুষের জন্য হুমকি তৈরি করছে।

প্রধান আলোচক আবুল কাশেম বলেন, “নদীর প্রাণ হারালে মাছ ধরা, কৃষি, পরিবহন, পর্যটন ও সংস্কৃতিভিত্তিক জীবিকা ধ্বংসের মুখে পড়বে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে নদীতীরবর্তী দরিদ্র জনগোষ্ঠী।” তিনি নদী সংরক্ষণকে জাতীয় অগ্রাধিকার হিসেবে দেখার আহ্বান জানান।

সভাপতির বক্তব্যে তৌহিদ বেলাল বলেন, “নদী একটি জীবন্ত সত্তা। মানুষ বাঁচাতে হলে আগে নদী বাঁচাতে হবে। নদী রক্ষার উদ্যোগ শুধু পরিবেশ নয়, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের নিরাপত্তার সঙ্গেও জড়িত।”

বক্তারা উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী নদীর সীমানা চিহ্নিত করে উচ্ছেদ অভিযান জোরদার করার দাবি জানান।

Post a Comment

0 Comments