ঘূর্ণিঝড় 'শক্তি'র প্রভাবে টেকনাফ উপজেলার সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের প্রায় ৭০ ভাগ এলাকা জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এতে করে স্থানীয়দের মধ্যে তীব্র খাদ্য সংকট দেখা দেয়। এই প্রেক্ষাপটে উপজেলা প্রশাসনের অনুরোধে কোস্ট ফাউন্ডেশন মঙ্গলবার (৩ জুন) সেন্ট মার্টিনের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ১০০ পরিবারের মাঝে শুকনা খাবার বিতরণ করেছে।
ত্রাণসামগ্রীর মধ্যে ছিল—আলু ২ কেজি, ডাল ১ কেজি, পোলাও চাল ২ কেজি, তেল ১ লিটার, চিড়া ১ কেজি, চিনি আধা কেজি ও রসুন আধা কেজি করে।
ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ফয়েজুল হক, লে. কমান্ডার শামস সাদেক, ইউপি সদস্যবৃন্দ এবং কোস্ট ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ এহসানউদ্দিন বলেন, “উপজেলা প্রশাসনের অনুরোধের পর কোস্ট ফাউন্ডেশন দ্রুত সাড়া দিয়ে ১০০ প্যাকেট শুকনা খাবার বিতরণ করেছে। গত সাত দিন ধরে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় সেন্ট মার্টিনে কোনো খাদ্যসামগ্রী পৌঁছায়নি। এই দুর্যোগে তাদের ভূমিকা সত্যিই প্রশংসনীয়।”
সেন্টমার্টিন ইউপি চেয়ারম্যান ফয়েজুল হক বলেন, “গত এক সপ্তাহ ধরে আমরা চরম সংকটে ছিলাম। এমন সময় কোস্ট ফাউন্ডেশনের এ সহায়তা যেন আশীর্বাদস্বরূপ। আমরা কৃতজ্ঞ।”
লে. কমান্ডার শামস সাদেক বলেন, “ত্রাণ বিতরণে যথাযথ সমন্বয় থাকায় কোনো ধরনের ডুপ্লিকেশন হয়নি। কো-অর্ডিনেশনের মাধ্যমে সঠিকভাবে সহায়তা পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে।”
ইউপি সদস্য সৈয়দ আলম জানান, “টানা সাত দিন বোট না চলায় এখানকার মানুষগুলো খাদ্যসংকটে ভুগছিল। কোস্ট ফাউন্ডেশনের এই সহায়তা বাস্তবেই অনেক মানুষকে স্বস্তি দিয়েছে।”
ত্রাণ গ্রহণকারী ভুক্তভোগীরাও তাদের সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন এবং জানিয়েছেন, এই সহায়তা তাদের খাদ্যসংকট কিছুটা হলেও লাঘব করবে।
0 Comments