উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব জাকারিয়া স্যারের পোস্ট থেকে নেয়া।
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে সৃষ্ট বন্যা পরিস্থিতি দুটি ইউনিয়নে পরিদর্শন করে যখন অফিসে এসে পৌছাই তখন বেলা দুটো। অত:পর হোটেল থেকে আনা ডিম খিচুড়ি ভক্ষণ করে যখন দাপ্তরিক কাজ করছি তখন খবর পেলাম ইসলামাবাদ ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডে ১৫ বছর বয়সী এক মাদ্রাসার ছাত্রীর বিয়ে হচ্ছে, সাথে সাথে সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যান ও মেম্বারকে কল দিয়ে সত্যতা যাচাই করে নিলাম।

চেয়ারম্যান সাহেব আসলে সংগে নিয়ে বিয়ে বাড়ির দিকে যাত্রা করি, মেইন রোড থেকে নেমে ভিতরের রোডে প্রবেশ করতেই দেখি বরের গাড়ি ও বরযাত্রীর বহর। সাথে সাথে গাড়ি থামিয়ে জিজ্ঞেস করতেই দেখি চক্ষু চড়কগাছ, বউ আছে কিন্তু বর নাই। কণের সাথে থাকা ভদ্রমহিলাকে পরিচয় জিজ্ঞেস করতেই বললো তিনি বরের মা। বরের কথা জিজ্ঞেস করলে, জানালেন বর বাড়িতে এবং এইভাবে নাকি বিয়ের প্রচলন আছে। যাই হোক মেনে নিয়ে বললাম বিয়ের কাগজপত্র এবং মেয়ের জন্ম-নিবন্ধন দেখান। কিন্তু সেটা আর দেখা হয়ে উঠেনা। ইতোমধ্যে সহজ সরল কাজি সাহেবকে সংবাদ দিয়ে আনা হয়, আসার সময় বিয়ের কাবিন-রেজিস্ট্রারসহ আনলে রেজিস্ট্রার চেক করে দেখা যায়, বাল্য বিবাহ পড়ানোর এই অপরাধ উনি দীর্ঘদিন করে আসছেন। কাজি সাহেবের রেজিস্ট্রার জব্দ করে আনা হয় এবং বাল্য বিবাহ এর সাথে জড়িত থাকায় মেয়ের চাচাকে (বাবা প্রবাসী) বাল্য বিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭ সংশ্লিষ্ট ধারা লংঘনে ৩০,০০০ (ত্রিশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়। একই সাথে মেয়ের চাচা ও বরের মা'র থেকে মুচলেকা নেয়া হয় এবং মেয়েকে তার নিজ বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়ে সংশ্লিষ্ট মেম্বার সাহেবকে নজরদারি রাখার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়।
জনসেবায় প্রশাসন।
0 Comments