কক্সবাজার জেলায় কোস্ট ফাউন্ডেশনের
পক্ষ থেকে কিছু প্রি সাইক্লোন ইমার্জেন্সি রেসপন্স উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পরিচালক কোর
প্রোগ্রাম, তারিক সাঈদ হারুনের নেতৃত্বে ঘূর্ণিঝড় মোখার ক্ষয়ক্ষতি কমাতে কোস্ট
প্রি-সাইক্লোন কার্যক্রম পরিচালনা করছে। কিছু গুরুত্বপূর্ণ আপডেট নিম্নরূপ:
কক্সবাজার সদর উপজেলা: গতকাল
ডিসি অফিস (কক্সবাজার) ইমার্জেন্সি রেসপন্স সমন্বয় মিটিংয়ের আয়োজন করে, কোস্ট মে
১৪, ২০২৩ তারিখে কক্সবাজার সদর উপজেলায় ১৬২০ জনের জন্য শুষ্ক খাদ্য এবং পানি সরবরাহ
দেওয়ার দায়িত্ব নেয়। ১৪ই মে ভোর ৬টায়, শহরের ৬টি আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রিত মোট ১৬২০
জনকে শুষ্ক খাদ্য ও পানি প্রদান করা করে।
ইউএনও-উখিয়ার পরামর্শ অনুসারে,
কোস্ট জালিয়াপালং ইউনিয়নে ঘূর্ণিঝড়ে আশ্রয় নেওয়া ৩০০মানুষের জন্য ৩০০ প্যাকেট
রান্না করা খাবার বিতরণ করেছে। ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে ডেইল পাড়ায় আশ্রয় নেওয়া ২৭২ প্যাকেট রান্না করা খাবার এবং সোনারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২৮ প্যাকেট
রান্না করা খাবার বিতরণ করেছে কোস্ট। উপজেলা প্রশাসনের অনুরোধ অনুযায়ী উখিয়ার এই
দুটি সাইক্লোন সেন্টারের দেখভাল করবে কোস্ট।
টেকনাফ উপজেলা: টেকনাফের
পোলাং পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দায়িত্ব নিয়েছে কোস্ট। টেকনাফ উপজেলায়
৩০০ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করবে কোস্ট ফাউন্ডেশন। ক্রয় সম্পন্ন হয়েছে এবং শুকনো
খাবার মজুদ রয়েছে কোস্ট টেকনাফ অফিসে।
কুতুবদিয়া উপজেলা: ঘূর্ণিঝড়
মোকাবিলায় পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে কুতুবদিয়া উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় বজায়
রেখেছে কোস্ট। কুতুবদিয়া উপজেলা প্রশাসনকে ২০টি টর্চ লাইট প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া
গতকাল মাইকিং ও বার্তা প্রচারের আয়োজন করেছে কোস্ট কুতুবদিয়া টিম।
রেডিও সৈকত অপারেশন: রেডিও
সৈকত (www.radiosaikat.net) ২৪ ঘণ্টা সময়ে চলছে যেখানে আবহাওয়া পূর্বাভাস, সরকারের
বার্তা এবং সাইক্লোন মোখা সংক্রান্ত অন্যান্য সংবাদগুলি প্রতিনিয়ত প্রচার করা হচ্ছে।
এছাড়াও, পরিস্থিতি অনুযায়ী
টেকনাফ, উখিয়া, কুতুবদিয়া, মহেশখা লী উপজেলার উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় জরুরী ভিত্তিতে
সাড়া দিতে কোস্টের কর্মীরা সর্বদা প্রস্তুত।
0 Comments