কক্সবাজার সদর উপজেলার হাসপাতাল রোড এলাকায় অবস্থিত ‘মডার্ণ ডেন্টাল কেয়ার’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালিয়ে লাইসেন্সবিহীনভাবে চিকিৎসাসেবা প্রদান ও ভুয়া পরিচয়ে চিকিৎসা দেওয়ার অভিযোগে জনৈক রমিজ উদ্দিনকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করে দেওয়া হয়।
আজ মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট ২০২৫) বিকাল ৪টায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নীলুফা ইয়াসমিন চৌধুরীর নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়।
অভিযান সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সাল থেকে রমিজ উদ্দিন লাইসেন্স ছাড়াই ক্লিনিকটি পরিচালনা করে আসছিলেন। তিনি নিজেকে ডাক্তার পরিচয় দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে রোগীদের চিকিৎসাসেবা দিয়ে আসছেন। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, তিনি একজন ডেন্টাল টেকনিশিয়ান হলেও অভিজ্ঞতার কারণে নিজেই রোগী দেখতেন। তবে কোনো বৈধ চুক্তিপত্র, সিসিটিভি ফুটেজ কিংবা ডাক্তারের উপস্থিতির প্রমাণ উপস্থাপন করতে ব্যর্থ হন তিনি।
তদন্তে প্রমাণিত হয় যে রমিজ উদ্দিনই রোগীদের দাঁত স্কেলিং, রুট ক্যানাল, ক্যাপ পরানোসহ সব ধরনের চিকিৎসা দিতেন এবং প্রেসক্রিপশনও লিখতেন। রেজিস্টারে দেখা যায়, এ পর্যন্ত তিনি প্রায় ৩৪৫২ জন রোগীকে চিকিৎসা দিয়েছেন। উপস্থিত রোগীরাও জানান, তারা রমিজ উদ্দিনকেই ডাক্তার ভেবে চিকিৎসা নিয়েছেন।
এ অবস্থায় ভ্রাম্যমাণ আদালত ‘বাংলাদেশ মেডিক্যাল ও ডেন্টাল আইন, ২০১০’ এর ২৯ ধারায় তাকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করে এবং প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করে দেয়।
অভিযানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. টিটু চন্দ্র শীল, সহকারী কমিশনার (ভূমি) শারমিন সুলতানা, মেডিকেল অফিসার স্মৃতি সরকার, পৌরসভার স্যানিটারি ইন্সপেক্টর জওহরলাল পাল, আব্দুর রহিম, আনসার বাহিনী ও জেলা পুলিশের সদস্যবৃন্দ।
উপজেলা প্রশাসন জানিয়েছে, জনগণের নিরাপদ স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে লাইসেন্সবিহীন ডেন্টাল চেম্বার ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
0 Comments