শিক্ষকদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে কঠোর নির্দেশনা


শিক্ষকদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম  ফেসবুক ব্যবহার বিষয়ে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)। ৫ জুলাই বুধবার মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদের সই করা একটি নোটিশ মাউশির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।

যেখানে বলা হয়েছে, সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তাদের ফেসবুক ব্যবহারের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে একটি নির্দেশনা দেয়া হলেও তা অনুসরণ না করে সরকারের নানা সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিরূপ মন্তব্য করা হচ্ছে। এ ধরনের কাজের সাথে   জড়িতদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।




বিজ্ঞপ্তিতে যে যে বিষয়ে বলা হয়েছেঃ-

সরকার বা রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়, যে কোনো সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগতে পারে এমন বা ধর্মনিরপেক্ষতার নীতি পরিপন্থি কোনো তথ্য-উপাত্ত প্রকাশ,  

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট বা আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটতে পারে, 

কোনো রাষ্ট্র বা রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য সম্বলিত এমন কোনো পোস্ট, ছবি, অডিও বা ভিডিও আপলোড কমেন্ট, লাইক, শেয়ার করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

জাতীয় ঐক্য ও চেতনার পরিপন্থি কোনো রকম তথ্য-উপাত্ত প্রকাশ করা, গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা অন্য কোনো সার্ভিস/পেশাকে হেয় প্রতিপন্ন করে এমন কোনো পোস্ট দেওয়া, ভিত্তিহীন, অসত্য ও অশ্লীল তথ্য প্রচার থেকে বিরত থাকতে হবে।
 
লিঙ্গ বৈষম্য বা এ সংক্রান্ত বিতর্কমূলক কোনো তথ্য-উপাত্ত প্রকাশ করা যাবে না।


সর্তকবার্তায় যা বলছে মাউশিঃ

শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও  অধিদফতরের ভাবমূর্তি ক্ষুণন হয় এমন কোনো পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বা ব্যক্তিগত ওয়ালে ও বিভিন্ন গ্রুপে সহকর্মী, প্রতিষ্ঠান প্রধান, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এবং কর্তৃপক্ষের গৃহীত সিদ্ধান্তের বিষয়ে অশোভন, অনৈতিক, শিষ্টাচার বহির্ভূত ও উসকানিমূলক বক্তব্য দেয়া যাবে না। 


এ ধরনের কর্মকাণ্ড সরকারি কর্মচারী আচরণ বিধিমালা ১৯৭৯, সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ সব স্তরের পরিপন্থি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে ‌‘কন্টেন্ট’ ও ‘ফ্রেন্ড’ সিলেকশনে সবাইকে সতর্কতা অবলম্বন এবং অপ্রয়োজনীয় ট্যাগ, রেফারেন্স বা শেয়ার করা পরিহার করতে হবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অপব্যবহার বা নিজ অ্যাকাউন্টের ক্ষতিকারক কন্টেন্টের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মচারী ব্যক্তিগতভাবে দায়ী হবেন।

এ নির্দেশনাটি মাধ্যমিক পর্যায়ে সরকারি/বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠান প্রধানের নিয়মিত মনিটরিং করবেন। এ অবস্থায় মাধ্যমিক পর্যায়ের সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কর্মরত শিক্ষক ও কর্মচারিদের উল্লেখিত কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হলো। 

অন্যথায় এ জাতীয় কর্মকাণ্ডে জড়িতদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানানো হয়েছে।


সাবিনা ইয়াসমিন
বিশেষ প্রতিনিধি

Post a Comment

0 Comments