মানবাধিকার দিবসে স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবী: জেলেদের জন্য নাফ নদীর উন্মুক্ত করা

উখিয়া ও টেকনাফে কোস্ট ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে মানবাধিকার দিবস পালন
Published from Blogger Prime Android App
কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে মানবাধিকার দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৬ ও ৭ ডিসেম্বর পৃথক কর্মসূচিতে স্থানীয় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক –শিক্ষার্থী, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, পুলিশ কর্মকর্তা, প্রকল্পের সামাজিক সম্প্রীতি কমিটির সদস্যসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে হ্নীলা মাইন উদ্দিন মেমোরিয়াল কলেজ মিলনায়তনে মানবাধিকার দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্তিত ছিলেন তরুণ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, ক্রীড়া প্রেমি ও সমাজ সেবক তারেক মাহমুদ রনি। কলেজের অধ্যক্ষ, আ ন ম তৌহিদুল মাশেকের সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা ছিলেন কোস্ট ফাউন্ডেশনের পরিচালক মোস্তফা কামাল আকন্দ। কোস্ট ফাউন্ডেশনের সহাকারী পরিচালক ও কক্সবাজার আঞ্চলিক টিম লিডার জাহাঙ্গীর আলমের সঞ্চলনায় মানবাধিকার দিবসের সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, স্থানীয় সমাজ সেবক ডাক্তার আবু বকর আল মামুন, মঈন উদ্দিন মেমোরিয়াল কলেজের ট্রাস্টি সদস্য ইব্রাহিম খলিল, হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য নাসরিন পারভিন, মরজিনা আক্তার, কানজরপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম, টেকনাফ উপজেলা প্রেস ক্লাব সভাপতি নুরুল হোসাইন, টেকনাফ উপজেলা সহব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি আলমগির চৌধুরী।

এর আগের দিন বুধবার উখিয়ার নুরুল ইসলাম চৌধুরী বিএম স্কুল এন্ড কলেজ হল রুমে মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

সভায় উপস্থিত ছিলেন,  নুরুল ইসলাম চৌধুরী বিএম স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মিলন বড়ুয়া, কোস্ট ফাউন্ডেশনের পরিচালক মোস্তফা কামাল আকন্দ, সহকারী পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম, রাজাপালং ৯নং ওয়ার্ড সদস্য হেলাল উদ্দিন, ১ নং ওয়ার্ড সদস্য নুরুল কবীর, ৪,৫,৬ নং ওয়ার্ড সদস্য খুরশিদা বেগম, পুলিশ পরিদর্শক মো: রুবেল আজাদ, কুতুপালং উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষিকা রিতা বালা দে, উখিয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রতন কান্তি দে, উখিয়া ইমাম সমিতির সভাপতি মাওলানা জাফর আলম, নুরুল ইসলাম চৌধুরী গুলজার বেগম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম। 

পৃথক সভায় বক্তারা বিভিন্ন বিষয়ে আলোকপাত করেন,

মোস্তফা কামাল আকন্দ বলেন,“বর্তমানে আমাদের অনেক তরুনরা সাইবার অপরাধে জড়িয়ে যাচ্ছে, তারা বুঝে কিংবা না বুঝে স্যোশাল মিডিয়ায় অন্যজনের গোপনীয়তা ভংঙ্গ করছে, তাই আমাদের তরূণদের এই বিষয়ে আরো সচেতন করতে হবে কারন মানুষের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ভংঙ্গ করা মানবাধিকারের লংঙ্ঘন”। তিনি রোহিঙ্গা ইস্যুতে সামাজিক সম্প্রীতি এবং প্রত্যাবাসন বিষয় উল্লেখ্য করে বলেন “রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে হবে, কারন তারা তাদের নিজ দেশ হতে নির্যাতনের শিকার হয়ে এখানে আশ্রয় নিয়েছে, তাদের নিজ দেশে বসবাস করার নিশ্চিত করতে হবে, তবে তার আগ পর্যন্ত স্থানীয় এবং রোহিঙাদের মধ্যে সামাজিক সম্প্রীতি বজায় রাখতে হবে”।


অধ্যক্ষ, আ ন ম তৌহিদুল মাশেক  বলেন যেখানে Rights আছে সেখানে responsibility   আছে।  নিজের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে অন্যের অধিকার  ক্ষুন্ন হচ্ছে কিনা তা দেখতে হবে। অন্যথায় মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা হবে না।

চিকিৎসক আবু বকর আল মামুন বলেব,  আপনারা ভাগ্যবান এই জন্য যে কলেজ পর্যায়ে আপনারা মানবাধিকার সম্পর্কে জানতে পারছেন যা আমরা জেনেছি ভার্সিটি জীবনে এ জন্য   কোস্ট ফাউন্ডেশনকে ধন্যবাদ। 


টেকনাফ প্রেসক্লাবের সভাপতি জনাব নুর হোসেন বলেন এই বয়স থেকে যদি আমরা ছাত্রদের মধ্যে মানবাধিকারের বীজ বপন করতে পারি তাহলে আমাদের সমাজের সকল প্রকার অনৈতিক কর্মকান্ডের অবসান হবে। তিনি সন্তানদের তাদের মা-বাবার প্রতি আরো যত্নবান হওয়ার অনুরোধ করেন এবং জেলেদের জন্য নাফ নদী খুলে দিতে প্রশাসনের প্রতি দৃষ্টি আলোকপাত করেন।


হেলাল উদ্দিন বলেন “আমরা নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, জনগনের ভোটে আমরা নির্বাচিত হয়, অনেকে আমাদের ভোট দেয় অনেকে দেয় না। যে যার যার ইচ্ছা এবং পছন্দ অনুযায়ী ভোট দিবে এটা তার অধিকার। তবে জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমাদের উচিত হবে সকলকে সমান সেবা দেওয়া এবং কে আমাদের ভোট দিয়েছে বা দেয়নি সেটা যেন বিচেচনায় না করি”। 

কাঞ্জরপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জনাব রফিকুল ইসলাম বলেন, আজকের বক্তব্য প্রতিযোগিতা খুবই অর্থবহ ছিলো এবং সকল শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ ছিলো।  মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হলে আমাদের কার্যক্রমের ফলে অন্যের ক্ষতি হচ্ছে কিনা তা দেখতে হবে।

 সিনিয়র সাংবাদিক জনাব ইমাম খায়ের বলেন, আমাদেরকে বাক্সের বাহিরে চিন্তা করতে হবে,  নিজের পাশাপাশি অন্যের অবস্থাকে গুরুত্ব দিতে হবে, তাহলেই পৃথিবীর সর্বত্র মানবাধিকারের জয়গান শুনতে পারবো।

Post a Comment

0 Comments